কক্সবাজার, রোববার, ৫ মে ২০২৪

স্কুলছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে বরখাস্ত প্রধান শিক্ষক

রংপুরের বদরগঞ্জে নিজ প্রতিষ্ঠানের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৩) কুপ্রস্তাব দেওয়ার ঘটনায় প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির এক জরুরি সভায় তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে বদরগঞ্জ থানা পুলিশ।

বরখাস্তর বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মমতাজ হোসেন জানান, ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেখানে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সহকারী প্রধান শিক্ষক রোকেয়া খাতুনকে। শুক্রবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় ম্যানেজিং কমিটির সভায় সিদ্ধান নেওয়া হয়েছে।

এদিকে ঘটনাটি তদন্ত করতে আজ শনিবার (১৭ জুন) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সাঈদ তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন—উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার শামীমা ইয়াছমিন ও উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কার্যালয়ে জমা দিতে বলা হয়েছে।

 

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চম্পাতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক হিন্দু সম্প্রদায়ের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গত রোববার মোবাইল ফোনে কুপ্রস্তাব দেন। সেই কল রেকর্ড গত বুধবার রাতে ফাঁস হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে এলাকাবাসী ও অভিভাবকেরা ওই প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেন।

খবর পেয়ে ওই দিন বেলা ১১টার দিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাশফিয়া তাসরিন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম ও বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন।

কিন্তু প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত বিদ্যালয়ের তালা খুলে দেওয়া হবে না বলে বিক্ষোভকারীরা ওই কর্মকর্তাদের জানান। এ কারণে ওই দিন অর্ধবার্ষিক গণিত পরীক্ষা না দিয়েই বাড়ি ফিরে যায় শিক্ষার্থীরা। এদিকে বিক্ষোভকারীদের তোপের মুখে বিদ্যালয়ের তালা না খুলেই দুপুর ২টার দিকে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন ওই তিন কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) ওই ছাত্রীর বাবা বদরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করে।

পাঠকের মতামত: